চার দফা মেনে নিতে সরকারকে আলটিমেটাম

 

চার দফা মেনে নিতে সরকারকে আলটিমেটাম





সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক কঠোর বার্তা দেন। তারা স্পষ্ট করেন, চলমান আন্দোলনের মূল আট দফা দাবির মধ্যে চার দফাকে ‘জরুরি দাবি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এই চার দফা বাস্তবায়ন ছাড়া আর কোনো আলোচনায় তারা অংশ নেবেন না। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা সরকারের কাছে দৃঢ় সংকেত দিয়েছিলেন যে, তাদের ধৈর্য সীমিত এবং বৈষম্য দূরীকরণে বাস্তব পরিবর্তন ছাড়া আন্দোলন থামানো সম্ভব নয়।

তারা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই চার দফা পূরণের জন্য আরো দুদিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। জরুরি চার দফার মধ্যে ছিল ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় চালু, কারফিউ প্রত্যাহার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদ ১৮ জুলাই থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। আসিফের বাবা মো. বিল্লাল হোসেন ছেলের সন্ধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সুরাহা পাননি।

সেদিন সমন্বয়করা আরো বলেন, চার দফা দাবি পূরণ না হলে তারা আট দফার দাবিও প্রত্যাহার করবেন না এবং আন্দোলন আরো বিস্তৃত ও তীব্র হবে। সমন্বয়ক সারজিস আলম সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, ‘সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবে না।’

আন্দোলনের আট দফায় অন্তর্ভুক্ত ছিল নিহতদের বিচারের দাবি, ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা, ছাত্র সংসদ চালু, মামলা প্রত্যাহার এবং শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হয়রানি থেকে সুরক্ষা।

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সেদিন বলেন, ‘সরকারের প্রজ্ঞাপন সংলাপ ছাড়া জারি করা হয়েছে, যা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কোটা-সংক্রান্ত স্পষ্ট ব্যাখ্যার দাবি রয়েছে।’



Post a Comment

Previous Post Next Post